সোমবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২১

হতাশ হবেন না


অন্ধকার রাতের নির্জনতায় দুটি চোখের পাতা এক করতে পারছেন না,আগামী কালকের কাজের চাপ অনুভব করে। হয়তো আপনি মানসিকভাবে কোন পারিবারিক ঝামেলায় আছেন যেটি আপনার দেহ ও মনের উপর প্রভাব বিস্তার করে ক্লান্ত করে দিয়েছে অথচ আপনার চারপাশে অসংখ্য মানুষ Comfortably কাজ করে যাচ্ছে। তাদের আর আপনার মাঝে তফাৎটি কোথায়?

একটু স্থীর হোন, চুপচাপ কিছুক্ষন এক জায়গায় নিজেকে আটকিয়ে রাখুন। মনে সাহস আনুন এবং নিজেকে প্রশ্ন করুন - মানুষ আসলে কি করতে পারে? চেষ্টা, চেষ্টা এবং চেষ্টা এর বাইরে আর কিছুই করতে পারেনা।

আপনি যদি সৃষ্টিকর্তার উপর বিশ্বাস থাকে তাহলে বলবো - আমরা শুধু চেষ্টা করতে পারি ফলাফলের মালিক আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন।
হতাশা যেন আপনাকে গ্রাস করতে না পারে।

মূল কথায় আসা যাক,যেদিন আপনার মন খারাপ থাকবে সেদিন কিভাবে শুরু করবেন আপনার কাজ?

প্রথমেই বলি এটি একটি সামগ্রিক বিষয়ের উপর নির্ভরশীল। সমস্যার যেমন ভিন্নতা আছে মানুষের চিন্তা, মননশীলতা এবং যোগ্যতার ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়।স্থান কাল পাত্রে ভেদে সমস্যার ভিন্নতা অবশ্যই ছিল এবং থাকবে।সব কথার মূল বিষয় হলো মেনে নেওয়া এবং নিজেকে উপযুক্ত করে গড়ে তোলা।

সময় প্রত্যেক দিন একই রকম যায় না যেমনটি আপনি প্রত্যেক দিন একই রকম পোশাক বা খাবার গ্রহণ করেন না।জীবন এবং কাজ একটি অন্যটির সাথে নিবিড়ভাবে জড়িত। যত দিন জীবন আছে কাজ করে যেতে হবে- কেননা আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন তার সৃষ্টিকে ভালবাসেন আর এ সৃষ্টির রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আমাদের খলিফা হিসেবে এতো মর্যাদা দিয়ে পৃথিবীর বুকে আমাদের পাঠিয়েছেন।

মন খারাপের দিনে কাজের শুর :
১) গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো আলাদা করুন।যদি এ কাজটি করতে পারেন তবে বুঝবেন অর্ধেক কাজ হয়ে গেছে। ধীর স্থীর ভাবে কাজ শুরুু করুন সৃষ্টিকর্তার উপর ভরশা করে।আর ভাবুন কাজটি আপনি না করলে অন্য কেউ করে দেবে না। আপনার কাজ আপনাকেই করতে হবে সুতরাং শুরু করুন।
২) সব কাজ করতে না পারলেও অর্ধেক করুন।
গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো প্রথমে করুন। তারপর চেয়ার ছেড়ে উঠে পড়ুন এবং টি ব্রেক নিন।অফিসে সবচেয়ে কাছের মানুষের সাথে কিছুক্ষণ কথা বলুন।দেখবেন মন আস্তে আস্তে ভালর দিকে যাচ্ছে এবং দিন শেষে দেখবেন সব কাজ প্রায় শেষ করতে পারছেন।
৩) অফিসের ভিতর পরিবার আর পরিবারের ভিতরে অফিসকে ঢুকাবেন না।দুটোকে বিষয় আলাদা রাখুন।
৪) পরিবারের সদস্যদের সময় দিন।
৫) দিনের কাজ দিনে শেষ করার অভ্যাস গড়ে তুলুন।কালকের জন্য কোন কাজ রেখে দিবেন না।
৬) অফিস বা কর্মক্ষেত্র আপনার রুজির মাধ্যম তার আমানত রক্ষা করুন। প্রতিটি কর্মের হিসাব আপনাকে আমাকে দিতে হবে এ Mentality তৈরি করতে হবে।
৭) অবসরে বই পড়ুন। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঘুরতে বের হোন।
৮)নিজেকে Evaluation করুন প্রতিদিন ।
সব শেষে বলব- হতাশ হবেন না। দিন শেষে আপনিই জয়ী হবেন। ভরসা করুন সৃষ্টিকর্তার উপর।

1 টি মন্তব্য:

  1. জীবনকে উপভোগ করুন, আল্লাহর দেওয়া নেয়ামতের শুকরিয়া করি।আলহামদুলিল্লাহ।

    উত্তরমুছুন

আমরা রিক্ত হস্তে আসেনি
থেমে যাব ক্লান্ত হয়ে
রক্তিম পথ বার বার ডেকে ফেরে

বাস্তব