শনিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২১

মাহে রামাদান

একজন প্রকৃত মুসলিমের নিকট বছরের সব চেয়ে শ্রেষ্ঠ মাস হলো রামাদান।একজন মুমিন অপেক্ষা করতে থাকে কখন আসবে অধিক নেকি উপার্জনের মাস 'মাহে রামাদান'।
মাহে রামাদান আমাদের মাঝে হাজির হয়েছে রহমত, বরকত আর মাগফিরাত নিয়ে।

রামাদানের উদ্দেশ্য কি?  কেনইবা এর প্রয়োজন ছিল? 
আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন পবিত্র আল কুরআনে তা স্পষ্ট করেছেন " সাওম আমাদের উপর ফরজ করা হয়েছে,যাতে আমরা তাকওয়াবান হতে পারি।আর মানবজাতির হিদায়াতের জন্য এই রামাদান মাসেই আল কুরআন নাজিল হয়েছে।
       ( সূরা আল বাকারা: আয়াত নং ১৮৩,১৮৫)

এখন উক্ত আয়াতে কারীমে লক্ষ্য করি,তাহলে বুঝতে অসুবিধা হবে না যে, কি উদ্দেশ্যে রমজানুল মুবারক আমাদের মাঝে এসে হাজির হয় প্রতি বছর।মূলত তাকওয়া অর্জন ও হিদায়াত লাভ প্রকৃত উদ্দেশ্যে।

সময় ব্যবস্থাপনার আলোকে কিভাবে আমাদের মাঝে বিরাজমান পবিত্র রমজানুল মুবারক মাসকে আমাদের জন্য অধিক কল্যাণকর করে নিতে পারি।

সকালের সময়:

সাহরি করার পর ফযরের সালাত আদায় করে বিছানায় না গিয়ে কুরআন তিলওয়াতে সময় দিতে পারি।এক রুকু কিংবা তারও অধিক সময় মনযোগীতার সাথে বুঝে বুঝে অধ্যয়ন করা।হাদিস পড়া বিভিন্ন হাদিস গ্রন্থ থেকে।বাজারে বিভিন্ন লেখকের বিশাল ইসলামী সাহিত্য পাওয়া যায় সেগুলো থেকে কিছু গ্রন্থ সংগ্রহ করে নিয়মিত অধ্যয়ন করা।

বিকালের সময়:

যাদের অফিস থাকে এ সময়টায় কিছুটা আগেই অফিস শেষ হয় এ জন্য বিকালের সময়টুকুও কাজে লাগাতে হবে।পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে নিয়ে ছোট ছোট সুরার তাফসীর করা যেতে পারে।বাজারে এখন অনেক বিখ্যাত তাফসীর গ্রন্থ খুব সহজেই পাওয়া যায়। যেকোনো তাফসীরের শেষ খন্ড অর্থাৎ ৩০ পারাটা সংগ্রহ করা যেতে পারে।
পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নিকট আল্লাহ ভিরুতা,পহরেজগারিতা, প্রতিবেশীদের হক, আত্মীয়তার সম্পর্ক, দান সাদকাহ সম্পর্কে আলোচনা করা।
ছেলে মেয়েদের বাইরে নিয়ে গরীব,  অসহায়। ফকির মিসকিনদেন দান করানো শিক্ষা দেওয়া, যাতে তারা অনুভব করে কিভাবে দান করতে হয় এবং ধনীদের সম্পদে গরীবের হক আছে সেটি তারা বুঝতে পারে।

রাতের সময় :

ইফতারের পর কোন ওজর ছাড়া  মসজিদে মাগরীবের সালাত আদায় করা থেকে বিরত থাকা যাবে না।অবশ্যই পরিবারে ছোট সদস্যদের সাথে নিতে ভুলবেন না।ঈসা ও তারাবীর সালাত জামাতে আদায় করার যথা সম্ভব চেষ্টা করা।
এ সময় হলো এবাদতের এজন্য রাতে কিছু সময় তাহাজ্জুদের জন্য বরাদ্দ রাখা এবং কায়মন বাক্যে আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিনের নিকট নিজের,  পরিবার পরিজন, আত্মীয় স্বজন,  পাড়া প্রতিবেশী জন্য দোওয়া করা।মৃত নিকট আত্মীয় বিশেষ করে মৃত বাবা মার জন্য চোখের অশ্রুতে ফরিয়াদ করা।সর্বোপরি গোনাহ মাফ চাওয়া।

বিশেষ বর্জনীয় কিছু  কাজ :

১) সামাজিক মাধ্যমে অত্যধিক সময় ব্যয় না করা।
২) ঘুমের মাত্রা কমিয়ে আনা।
৩) অপ্র‌য়োজনীয় বেশী কথা বলা থেকে নিজেকে বিরত রাখার চেষ্টা করা।
৪) পরনিন্দা ও পরচর্চা থেকে দূরে থাকা।
৫) টি ভি কে যথা সম্ভব কম সময় দেওয়া।
৬) সকল প্রকারের শির্‌ক বিদাত থেকে নিজেকে মুক্ত রাখা।
৭)মিথ্যা কথা পরিহার করা।

আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন আমাদেরকে মাহে রামাদানে প্রকৃত হক সহকারে আদায় করার তৌফিক দান করুক।



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

আমরা রিক্ত হস্তে আসেনি
থেমে যাব ক্লান্ত হয়ে
রক্তিম পথ বার বার ডেকে ফেরে

বাস্তব