শনিবার, ১৫ মে, ২০২১

বাস্তব

নানা মতের নানা সমাহার একটি সীমারেখার মধ্যে বিরাজমান অনাদি কাল থেকে যা একটি শিশু মনকে সহজতর ভাবে অনুধাবন করতঃ মানবিকতার স্বর্ণ শিখরে আহরণে পথ্যের ন্যায় শক্তি জোগাতো।
একান্নবত্তি পরিবারের সন্তানদের মেধার বহিঃপ্রকাশ ও বহিঃসংযোগ আমাদের প্রতিনিয়তই বিমোহিত করে, রক্ত কনিকায় শিহরণ লাগে।কেনইবা হবেনা ছোটজন শিক্ষা লাভ করবে বড়জনের নিকট হতে এটি একটি চরম বাস্তব যেটি অস্বীকার করা অভদ্রতার সালিম।
জ্ঞানে গরিমায় সামান্য তফাৎ আমাদের মাঝে উচু - নিচুর প্রভেদ প্রকটভাবে বিভেদের দেয়াল খাড়া হয়ে দাড়িয়ে যাচ্ছে তা থেকে পরিত্রাণের বিন্দু মাত্র লক্ষণ লক্ষণীয় নয় যা পরিতাপের বিবিধ বিষয় হয়ে মরার উপর কড়া ঘা হয়ে দেখা দিচ্ছে যা নিত্যন্তনই চিন্তার খোরাক হয়ে রাতের নিদ্রায় ঢুঁ মারছে।

বৃহস্পতিবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২১

আম্মার ইবন ইয়াসির (রাঃ)


আম্মার ইবন ইয়াসির (রাঃ)

ইসলামের ইতিহাসে কাফের কতৃর্ক সর্বাধিক  নির্যাতিত সাহাবিদের অন্যতম।

আম্মার ইবন ইয়াসির একটি নাম একটি বিস্ময়।
ইসলামের ইতিহাসে প্রথম শহীদ সুমাইয়্যা (রাঃ) উনার মা।
উনার বাবা ও ভাই তারাও শহীদ হয়েছেন শুধুমাত্র ইসলাম গ্রহন করার জন্য।

অত্যাচার আর নির্যাতন আম্মার ইবন ইয়াসিরের নিত্য সঙ্গী ছিলো।
একদিন ঘটলো অন্য রকম ঘটনা।কাফির মুশরিকরা দেখল আর কোন ভাবে আম্মারের জবান থেকে কোন কথা বের করতে পারছেনা তখন তারা তাকে এত দীর্ঘক্ষণ পানিতে ডুবিয়ে রাখলেন যে তিনি সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলেন।
এ অবস্থায় মুশরিকরা তাঁর মুখ দিয়ে তাদের  ইচ্ছেমত। স্বীকৃতি আদায় করে নেয়। যখন আম্মার (রাঃ) চেতনা ফিরে পেলেন তখন তিনি অনুশোচনায় জর্জরিত হতে লাগলেন।
এখন হবে?
কত বড় ভুল করেছেন তিনি।
অন্তর ব্যথায় ভরাকান্ত
ছুটছেন ধীরে কিন্তু কম্পমান অন্তর
আম্মার (রাঃ) কে এ অবস্থায় দেখে দয়ার নবী ( সাঃ) বললেন -
' আম্মার,  খবর কি? 
আম্মার জবাব দিলেনঃ আজ আপনার শানে কিছু খারাপ এবং তাদের। উপাস্যদের সম্পর্কে কিছু ভালো কথা না বলা পর্যন্ত মুক্তি পাইনি।' 
রাসুলুল্লাহ ( সাঃ) বললেন ' তোমার অন্তর কি বলছে?'
আম্মার (রাঃ) বললেন ঃ আমার অন্তর ঈমানে পরিপূর্ণ।
নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) অত্যন্ত দরদের সাথে  তাঁর চোখের। পানি মুছে দিয়ে বললেন, " কোন ক্ষতি নেই।এমন অবস্থার মুখোমুখি হলে আবারও এমনটি করবে।" 
তারপর সুরা আন নাহালের নিম্নোক্ত আয়াতটি তেলাওয়াত।

مَن كَفَرَ بِاللَّهِ مِن بَعْدِ إِيمَانِهِ إِلَّا مَنْ أُكْرِهَ وَقَلْبُهُ مُطْمَئِنٌّ بِالْإِيمَانِ وَلَٰكِن مَّن شَرَحَ بِالْكُفْرِ صَدْرًا فَعَلَيْهِمْ غَضَبٌ مِّنَ اللَّهِ وَلَهُمْ عَذَابٌ عَظِيمٌ
" যে ব্যক্তি ঈমান আনার পর আল্লাহর সাথে কুফরী করে, এবং কুফরী জন্য হৃদয় উম্মুক্ত রাখল তার উপর আপতিত হবে আল্লাহর গযব এবং তার জন্য রয়েছে মহাশাস্তি; তবে যাদেরকে কুফরীর জন্য বাধ্য করা হয় এবং তাদের অন্তর ঈমানের উপর দৃঢ় থাকে তাদের কোন দোষ নেই।' সুরা আন নাহল -   ১০৬ ।

চলবে ......!

সোমবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২১

হতাশ হবেন না


অন্ধকার রাতের নির্জনতায় দুটি চোখের পাতা এক করতে পারছেন না,আগামী কালকের কাজের চাপ অনুভব করে। হয়তো আপনি মানসিকভাবে কোন পারিবারিক ঝামেলায় আছেন যেটি আপনার দেহ ও মনের উপর প্রভাব বিস্তার করে ক্লান্ত করে দিয়েছে অথচ আপনার চারপাশে অসংখ্য মানুষ Comfortably কাজ করে যাচ্ছে। তাদের আর আপনার মাঝে তফাৎটি কোথায়?

একটু স্থীর হোন, চুপচাপ কিছুক্ষন এক জায়গায় নিজেকে আটকিয়ে রাখুন। মনে সাহস আনুন এবং নিজেকে প্রশ্ন করুন - মানুষ আসলে কি করতে পারে? চেষ্টা, চেষ্টা এবং চেষ্টা এর বাইরে আর কিছুই করতে পারেনা।

আপনি যদি সৃষ্টিকর্তার উপর বিশ্বাস থাকে তাহলে বলবো - আমরা শুধু চেষ্টা করতে পারি ফলাফলের মালিক আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন।
হতাশা যেন আপনাকে গ্রাস করতে না পারে।

মূল কথায় আসা যাক,যেদিন আপনার মন খারাপ থাকবে সেদিন কিভাবে শুরু করবেন আপনার কাজ?

প্রথমেই বলি এটি একটি সামগ্রিক বিষয়ের উপর নির্ভরশীল। সমস্যার যেমন ভিন্নতা আছে মানুষের চিন্তা, মননশীলতা এবং যোগ্যতার ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়।স্থান কাল পাত্রে ভেদে সমস্যার ভিন্নতা অবশ্যই ছিল এবং থাকবে।সব কথার মূল বিষয় হলো মেনে নেওয়া এবং নিজেকে উপযুক্ত করে গড়ে তোলা।

সময় প্রত্যেক দিন একই রকম যায় না যেমনটি আপনি প্রত্যেক দিন একই রকম পোশাক বা খাবার গ্রহণ করেন না।জীবন এবং কাজ একটি অন্যটির সাথে নিবিড়ভাবে জড়িত। যত দিন জীবন আছে কাজ করে যেতে হবে- কেননা আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন তার সৃষ্টিকে ভালবাসেন আর এ সৃষ্টির রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আমাদের খলিফা হিসেবে এতো মর্যাদা দিয়ে পৃথিবীর বুকে আমাদের পাঠিয়েছেন।

মন খারাপের দিনে কাজের শুর :
১) গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো আলাদা করুন।যদি এ কাজটি করতে পারেন তবে বুঝবেন অর্ধেক কাজ হয়ে গেছে। ধীর স্থীর ভাবে কাজ শুরুু করুন সৃষ্টিকর্তার উপর ভরশা করে।আর ভাবুন কাজটি আপনি না করলে অন্য কেউ করে দেবে না। আপনার কাজ আপনাকেই করতে হবে সুতরাং শুরু করুন।
২) সব কাজ করতে না পারলেও অর্ধেক করুন।
গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো প্রথমে করুন। তারপর চেয়ার ছেড়ে উঠে পড়ুন এবং টি ব্রেক নিন।অফিসে সবচেয়ে কাছের মানুষের সাথে কিছুক্ষণ কথা বলুন।দেখবেন মন আস্তে আস্তে ভালর দিকে যাচ্ছে এবং দিন শেষে দেখবেন সব কাজ প্রায় শেষ করতে পারছেন।
৩) অফিসের ভিতর পরিবার আর পরিবারের ভিতরে অফিসকে ঢুকাবেন না।দুটোকে বিষয় আলাদা রাখুন।
৪) পরিবারের সদস্যদের সময় দিন।
৫) দিনের কাজ দিনে শেষ করার অভ্যাস গড়ে তুলুন।কালকের জন্য কোন কাজ রেখে দিবেন না।
৬) অফিস বা কর্মক্ষেত্র আপনার রুজির মাধ্যম তার আমানত রক্ষা করুন। প্রতিটি কর্মের হিসাব আপনাকে আমাকে দিতে হবে এ Mentality তৈরি করতে হবে।
৭) অবসরে বই পড়ুন। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঘুরতে বের হোন।
৮)নিজেকে Evaluation করুন প্রতিদিন ।
সব শেষে বলব- হতাশ হবেন না। দিন শেষে আপনিই জয়ী হবেন। ভরসা করুন সৃষ্টিকর্তার উপর।

শনিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২১

মাহে রামাদান

একজন প্রকৃত মুসলিমের নিকট বছরের সব চেয়ে শ্রেষ্ঠ মাস হলো রামাদান।একজন মুমিন অপেক্ষা করতে থাকে কখন আসবে অধিক নেকি উপার্জনের মাস 'মাহে রামাদান'।
মাহে রামাদান আমাদের মাঝে হাজির হয়েছে রহমত, বরকত আর মাগফিরাত নিয়ে।

রামাদানের উদ্দেশ্য কি?  কেনইবা এর প্রয়োজন ছিল? 
আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন পবিত্র আল কুরআনে তা স্পষ্ট করেছেন " সাওম আমাদের উপর ফরজ করা হয়েছে,যাতে আমরা তাকওয়াবান হতে পারি।আর মানবজাতির হিদায়াতের জন্য এই রামাদান মাসেই আল কুরআন নাজিল হয়েছে।
       ( সূরা আল বাকারা: আয়াত নং ১৮৩,১৮৫)

এখন উক্ত আয়াতে কারীমে লক্ষ্য করি,তাহলে বুঝতে অসুবিধা হবে না যে, কি উদ্দেশ্যে রমজানুল মুবারক আমাদের মাঝে এসে হাজির হয় প্রতি বছর।মূলত তাকওয়া অর্জন ও হিদায়াত লাভ প্রকৃত উদ্দেশ্যে।

সময় ব্যবস্থাপনার আলোকে কিভাবে আমাদের মাঝে বিরাজমান পবিত্র রমজানুল মুবারক মাসকে আমাদের জন্য অধিক কল্যাণকর করে নিতে পারি।

সকালের সময়:

সাহরি করার পর ফযরের সালাত আদায় করে বিছানায় না গিয়ে কুরআন তিলওয়াতে সময় দিতে পারি।এক রুকু কিংবা তারও অধিক সময় মনযোগীতার সাথে বুঝে বুঝে অধ্যয়ন করা।হাদিস পড়া বিভিন্ন হাদিস গ্রন্থ থেকে।বাজারে বিভিন্ন লেখকের বিশাল ইসলামী সাহিত্য পাওয়া যায় সেগুলো থেকে কিছু গ্রন্থ সংগ্রহ করে নিয়মিত অধ্যয়ন করা।

বিকালের সময়:

যাদের অফিস থাকে এ সময়টায় কিছুটা আগেই অফিস শেষ হয় এ জন্য বিকালের সময়টুকুও কাজে লাগাতে হবে।পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে নিয়ে ছোট ছোট সুরার তাফসীর করা যেতে পারে।বাজারে এখন অনেক বিখ্যাত তাফসীর গ্রন্থ খুব সহজেই পাওয়া যায়। যেকোনো তাফসীরের শেষ খন্ড অর্থাৎ ৩০ পারাটা সংগ্রহ করা যেতে পারে।
পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নিকট আল্লাহ ভিরুতা,পহরেজগারিতা, প্রতিবেশীদের হক, আত্মীয়তার সম্পর্ক, দান সাদকাহ সম্পর্কে আলোচনা করা।
ছেলে মেয়েদের বাইরে নিয়ে গরীব,  অসহায়। ফকির মিসকিনদেন দান করানো শিক্ষা দেওয়া, যাতে তারা অনুভব করে কিভাবে দান করতে হয় এবং ধনীদের সম্পদে গরীবের হক আছে সেটি তারা বুঝতে পারে।

রাতের সময় :

ইফতারের পর কোন ওজর ছাড়া  মসজিদে মাগরীবের সালাত আদায় করা থেকে বিরত থাকা যাবে না।অবশ্যই পরিবারে ছোট সদস্যদের সাথে নিতে ভুলবেন না।ঈসা ও তারাবীর সালাত জামাতে আদায় করার যথা সম্ভব চেষ্টা করা।
এ সময় হলো এবাদতের এজন্য রাতে কিছু সময় তাহাজ্জুদের জন্য বরাদ্দ রাখা এবং কায়মন বাক্যে আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিনের নিকট নিজের,  পরিবার পরিজন, আত্মীয় স্বজন,  পাড়া প্রতিবেশী জন্য দোওয়া করা।মৃত নিকট আত্মীয় বিশেষ করে মৃত বাবা মার জন্য চোখের অশ্রুতে ফরিয়াদ করা।সর্বোপরি গোনাহ মাফ চাওয়া।

বিশেষ বর্জনীয় কিছু  কাজ :

১) সামাজিক মাধ্যমে অত্যধিক সময় ব্যয় না করা।
২) ঘুমের মাত্রা কমিয়ে আনা।
৩) অপ্র‌য়োজনীয় বেশী কথা বলা থেকে নিজেকে বিরত রাখার চেষ্টা করা।
৪) পরনিন্দা ও পরচর্চা থেকে দূরে থাকা।
৫) টি ভি কে যথা সম্ভব কম সময় দেওয়া।
৬) সকল প্রকারের শির্‌ক বিদাত থেকে নিজেকে মুক্ত রাখা।
৭)মিথ্যা কথা পরিহার করা।

আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন আমাদেরকে মাহে রামাদানে প্রকৃত হক সহকারে আদায় করার তৌফিক দান করুক।



শুক্রবার, ৯ এপ্রিল, ২০২১

অফিসে মূল্যায়ন

ক্ষণিকের প্রশংসায় নিজেকে অনেক কিছু ভাবার দরকার নেই। আপনার কর্ম আপনাকে মূল্যায়ন করবে।বস আপনাকে বা আপনার কর্মকে অবশ্যই মূল্যায়ন করবে যদি তার চাহিদাকে আপনি মূল্যায়ন করেন।কথায় বলে - মানুষ কাজ শিখে জন্মগ্রহণ করে না বরং কাজ শিখতে শিখতে মানুষ হওয়া যায়।
আপনি বা আমি অভিযোগের তীর নিক্ষেপ করতেই পারি এতো কাজ করছি কিন্তু মূল্যায়ন করছে না।ভাবুন একান্ত ভাবেই,চিন্তা করুন অন্যের এবং নিজের মধ্যে পার্থক্য কি? তিনি কি করেন?
এটি একান্তই আমার ভাবনা অন্যদের সাথে নাও মিলতে পারে
পার্থক্য মূলত: বস যা চাই, যে ভাবে চাই সে ভাবেই কাজ করা।
না পারলে যথা সময়ে যথার্থ কারনটি অবশ্যই বলা।
দেখবেন বস খুশি না হলেও অবমূল্যায়ন করবে না।

সোমবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১৬

পুরুষের, চল্লিশ মানে শেষ !

পুরুষের, চল্লিশ মানে শেষ !


আমরা পুরুষেরা ভাবতে পারি চল্লিশ হয়েছে আর কত ? না ! বয়স চল্লিশ হওয়ার মানে শেষ নয়। চল্লিশের পরও এক জন পুরুষ পারে নিজেকে আকর্ষণীয় করে রাখতে অন্যের নিকট ।

চল্লিশের পরে সাধরন যে সকল সমস্যা  পুরুষের মাঝে দেখা যায়-

১>মাথার চুল পড়তে শুরু করে।
২>ত্বক কুঁচকে যেতে থাকে।
৩>স্বাভাবিক শক্তি ক্ষয় পেতে থাকে।
৪> যৈাবন শক্তি কমে যায়।
৫>স্মৃতি শক্তি কমতে থাক।

৬>অনিদ্রা আসতে পার।
চল্লিশের পর আমাদের যা করা দরকারঃ

১>নিয়মিত ব্যায়াম করা।প্রতিদিন কম করে হলেও ৩০ মিনিট হাঁটা।
২> স্বাস্থ্যকর খাবার পরিমিত ভাবে গ্র্রহন করা।
৩>দিনে কম পক্ষে ২ লিটার পানি পান করা।

৪>নিয়ম করে ৭-৮ ঘন্টা ঘুমানো।
৫>সূর্যের কড়া রোদ পরিহার করা। সকালে হালকা রোদ স্বাস্থ্যের জন্য উপকার কেননা হালকা রোদ ভিটামিন ডি উপাদনে সাহায্য করে।


৬> ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে নিয়মিত যা আমাদের ত্বক ভালো রাখতে পারে।

৭>পরিবারের সদস্যদের  বেশি বেশি সময় দিতে হবে।

৮> ভাল চিন্তা,ভালো আলোচনায় অংশগ্রহন করা।


৯>নিয়মিত চুল-দাড়ির যত্ন নিতে হবে।

বাস্তব